romantic bangla love গল্পের আজ দ্বিতীয় পর্ব। আগের পোস্টে এই valobashar golper কিছু খুনসুটি রোমান্টিক কথা share করেছি। আজ বাকি অংশটুকু সকলের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে। চুলুন শুরু করা যাক……
Bangla Bhalobasar Golpo ღ Romantic Love Story (Part – 2)
এরপর আবির ফোন করলো নীলিমাকে
আবির: হ্যালো
নীলিমা: হ্যালো……
আবির: শোনা যাচ্ছে নীলিমা
নীলিমা: হ্যারে বাবা পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি বলো কি বলবে!
আবির: বলছিলাম কনফার্ম যাচ্ছোত তাহলে গোয়া?
নীলিমা: হ্যাঁ যাচ্ছি বললামতো কি মুশকিল। আচ্ছা তোমার কী সব গোছগাছ করা কমপ্লিট?
আবির: হ্যা হ্যা আমার সব লাগেজ নিয়ে নিয়েছি। ভাগ্নি দুটির জন্য অনেক কিছু কিনলাম বুঝলে। ভিডিও কলে এসোনা তোমাকে দেখাবো।
নীলিমা: না না আমি আসতে পারবোনা ভীষণ ক্লান্ত অনুভব করছি আজ। এক্ষুনি ঘুমিয়ে পড়বো আজ। তুমি ওয়াটাসঅ্যাপে আমাকে ছবি পাঠিয়ে দাও আমি দেখে নেবো সকালে কেমন।
আবির: থিস ইজ ভেরি ব্যাড নীলিমা। আমি তোমার জন্যে একটা ড্রেস কিনেছি। প্লিজ এসোনা ভিডিও কলে এসোনা।
নীলিমা: তুমি কেনো ড্রেস কিনতে গেলে আমি কি তোমার গার্লফ্রেন্ড যে তুমি আমার জন্য শপিং করছো।
আবির: উফ: নীলিমা এতো প্রাকটিক্যাল হওয়াটা ঠিক না। একবার এসো ভিডিও কলে দেখো তোমার পছন্দ হবে আমার কেনা তোমার জন্য ড্রেসটা।
নীলিমা: এই ভাবেই শুরু হয় আবির জানতো। তুমি তার পর এখানে এসে বলবে ড্রেসটা পরে দেখাও। আমি তোমার কথায় ড্রেসটা পরে দেখাবো। তার পর ড্রেসটা পরে কোনো ডিনার ডেতে যাবো। তুমি কমপ্লিমেন্ট দিয়ে একটা কিস করবে, আমি আবার তোমাকে কিস করবো।
তারপর আবার সেই সব সেম প্রেম হয়ে যাবে সেই কমিটমেন্ট, সেই দুঃখ পাওয়া, সেই অভিমান, সেই ডিপ্রেসন। সো প্লিজ ডোন্ট স্টার্ট ডিস্, নো ড্রেস নো গিফট আমার কিচ্ছু চাইনা।
আবির: আচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে! বাপরে বাপ! আমিতো কিনে ফেলেছি ওটা আমি আনবো। তোমার পরার দরকার নেই। আমার সামনে পরারও দরকার নেই। তুমি ড্রেসটা প্যাকিং করা অবস্থায় বাড়ি নিয়ে যেও ঠিক আছে? তাহলে তো সেফ।
নীলিমা: হ্যাঁ ঠিক আছে। আমি বলতে চাইছি কি দরকার ছিল এসব করার শুধু শুধু।
আবির: তাহলে তুমি বলো তোমার কি দরকার ছিল আমার বাড়িতে পাঞ্জাবি কোরিয়ার করে পাঠানোর।
নীলিমা: এটা আলাদা ব্যাপার। পুজোই তুমি আসছ আর পূজায় তুমি পাঞ্জাবী পারবেনা সেটা কেমন একটা দেখবেনা!
আবির: তা কেমন দেখলে কেমন দেখতো। তোমার তাতে কি তুমি কি আমার গার্লফ্রেন্ড? আমার বাবা মা বুজবে আমি বুজবো। মা নিশ্চয় তার পছন্দ মতো দুটো একটা পাঞ্জাবি কিনে রাখবে।
নীলিমা: হ্যাঁ কিন্তুু আমি যেটা কিনেছি সেটা কখনোই আন্টির থেকে ভালো হতে পারেনা, কারণ আমি আমার মন থেকে পছন্দ করে কিনেছি। আর আমার মনের পছন্দ অত খারাপ না যেটা তোমাকে ভালো লাগবেনা।
আবির: এই ভাবেই বৌমা শাশুড়িতে ঝগড়া শুরু হয় জানো। কে বেটার এর লড়াই।
নীলিমা: কি হচ্ছে আবির? ভবিষ্যত নিয়ে এসব কথবার্তা আমার একদম ভাল লাগেনা ধ্যাত। ছেলে বন্ধুর মা মানেই হবু শাশুড়ি ইটস ভেরি ট্রপিক্যাল।
আবির: আচ্ছা ঠিক আছে। আমাদের বাড়িতে আসবেতো? নাকি মাকে বলবো তোমাকে ইনভাইট করতে।
নীলিমা: না আবির প্লিজ শুধু শুধু এসব করোনা আমি আসতে পারবোনা। আমি আসবোনা।
আবির: আরে মা দারুন ইলিশ মাছ রান্না করে খেলে ম্যাড হয়েযাবে মিলিয়ে নিও কথাটা।
নীলিমা: আরে উনি যদি আলাদা ভাবেন। যদি এরকম ভাবেন তুমি আর আমি বিয়ে করবো। না না আবির প্লিজ আমি আসবোনা। আর তখন যদি আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন। আমি বুঝতে পারছিনা আমি কি বলবো।
আবির: হ্যাঁ জিজ্ঞাসা করতেই পারে। তা তুমি আমি আপনাকে যেসব তত্ত্ব টত্ত্ব দিয়ে বোঝাও মাকেও বলবে সেসব। দেখো আমাকে একা বুঝিয়েতো লাভ নেই গোটা পৃথিবীকে তোমাকে বোঝাতে হবে, শেখাতে হবে। যদি আমাদের পেরেন্টস দেরকেই যদি আমরা বোঝাতে না পারি! তাহলেতো আমরা টোটাল ফেলীয়র।
নীলিমা: হুম তা ঠিক। আচ্ছা বাদ দাও এসব। কি বলছি শোনো।
আবির: হ্যা শুনছি বলো
নীলিমা: তোমার মা কি শাড়ি পরতে ভালোবাসেন গো?
আবির: পুজায়তো লালা সাদা কম্বিনেশনের প্রুচুর ভ্যারাইটিস পরে। কেনো মাকে শাড়ি দেবে?
নীলিমা: হ্যাঁ ভাবছিলাম নাকি অন্য কিছু দেবো বলোতো? মা কি ভালোবাসেন আমার তো জানা নেই।
আবির: ছবি আঁকতে ভালোবাসে, আল্পনা দিতে ভালোবাসে আরও একটা জিনিস ভালোবাসে….
নীলিমা: বুঝেছি তোমাকে তাইনা?
আবির: সেতো বাসে আর একটা জিনিস ভালোবাসে।
নীলিমা: তাহলে! কি সেটা?
আবির: মা বাস্কেট বল ভালবাসে। মা ন্যাশনাল লেবেলে বাস্কেট বল খেলতো। দেখলেই বুঝবে স্পোর্টস পার্সনতো! একখনও দারুন একটিভ, তুমি দেখলেই বুঝবে।
ভোর বেলা উঠেই বেরিয়ে পরে জগিং করতে, আসার পথে বাজার করে ফেরে নির্মলা মাসীতো ততক্ষণে চলে আসে। মা এসেই সবজির বাজারটা ফেলে দেয়। মাসী সেটা কেটেকুটে রেডি করে দেয়, মা স্নান সেরেই আলুর তরকারিটা বসিয়ে দেয়। আমি খুব ভালোবাসি আলুর তরকারি বুঝেছ?
নীলিমা: ওকে বুঝলাম, এবার বলো মা কি খান মানে কি খেতে বেশি ভালোবাসেন?
আবির: ওই বাবা অফিসে বেরিয়ে গেলে চা বাস্কেট এসব খেয়ে নেয়।
নীলিমা: মনে যা হোক কিছু একটা খেয়ে নেয় তাইতো?
আবির: না না মা খুব হেলথ কনন্সেস। আর বাবার দিকেও খুব খেয়াল রাখে বুজলে।
নীলিমা: তুমি লন্ডনে থেকে এতো খবর রাখো এতো ডিটেলে?
আবির: হ্যা! মাঝে মাঝে যখনি ফ্রি হই তখন বাড়িতে ভিডিও কল করি আরকি। তখন দেখি এসব। খুব নস্টালজিক লাগে তখন।
নীলিমা: কখন করো বাড়িতে ফোন?
আবির: তবু ধরো তোমাদের ওখানে যখন ছটা সাড়ে ছটা আমাদের এখানে তখন দুটো তিনটে মাঝরাত।
নীলিমা: বাপরে! খুব মিস কর তাইনা বাবা মাকে?
আবির: হুম করি। আর আজকাল তোমাকেও খুব মিস করি মালবিকা।
নীলিমা: কি!?
আবির: হ্যাঁ আরে সিরিয়াস বলছি।
নীলিমা: ধ্যাত কি যে বলো।
আবির: আচ্ছা নীলিমা বাবা মার মতো আমারওতো এরকম সুখী থাকতে পারি তাইনা।
নীলিমা: আমার রকম কনভারসেশন এর মধ্যে ঢুকতে একদম ভালো লাগছেনা। তুমি বন্ধ করো এসব কথা। জঘন্য বিষয়ে তুমি আবার কি একটা চালু করেছো।
আবির: আচ্ছা নীলিমা এটা কি ধরনের তপস্যা?
নীলিমা: দেখো আবির এরকম করলে ওসব গোয়া টোয়া সব যাওয়া বন্ধ। আমার মনে হয় তুমি সব কমপ্লিকেট করে ফেলবে।
আবির: আচ্ছা ঠিক আছে দেখা যাবে আমি কি কমপ্লিকেট করি আর তুমি কি সিম্পিল রাখতে পারো ওকে!
নীলিমা: এটা কি চ্যালেঞ্জ নাকি?
আবির: হুম আমারতো তাই মনে হচ্ছে।
নীলিমা: ঠিক আছে অনেক রাত হয়েছে। ঘুমাও এখন কাল অফিসে যেতে হবে আবার তোমাকে।
আবির: হ্যা রাখো আমিও ফোন রেখে ঘুমাবো এবার।
নীলিমা: আর কি বলছি তুমি ডিনার করে নিও।
আবির: হ্যাঁ করে নেবো তুমি করেছো ডিনার?
নীলিমা: আমি তোমার সঙ্গে কিথা বলতে বলতেই রুটি আর রোল খেয়ে নিয়েছি।
আবির: বাহঃ গুড তাহলে এবার জল খেয়ে শুয়ে পড়ো।
নীলিমা: আমি জানি জল খেতে হবে। তোমার এত খোজ না রাখলেও হবে মশাই।
আবির: থ্যাঙ্কস
নীলিমা: মনে কি!
আবির: ওই খেয়াল রাখার কথা বললে তাই থ্যাঙ্কস।
নীলিমা: সৌরভ তুমি এমন কেনো?
আবির: নীলিমা ইটস ওকে সব সময় এতো রিয়্যাক্ট না করলেও চলবে। গুড নাইট। আমি এখন গান শুনতে শুনতে রান্না করবো।
নীলিমা: ওয়াও অল দ্যা বেস্ট।
আবির: থ্যাংক টা টা।
Comments are closed.